BIG BREAKING আগামী ১৫ ই জুন থেকে ভক্তদের জন‍্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বর্ধমানে সর্বমঙ্গলার মন্দির , স্বাস্থ‍্য বিধির দিকে নজর ট্রাস্ট বোর্ডের

13th June 2020 8:57 am বর্ধমান
BIG BREAKING আগামী ১৫ ই জুন থেকে ভক্তদের জন‍্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বর্ধমানে সর্বমঙ্গলার মন্দির , স্বাস্থ‍্য বিধির দিকে নজর ট্রাস্ট বোর্ডের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : টানা লকডাউন কাটিয়ে ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে । করোনার সংক্রমণ বাড়লেও ঘরবন্দী জীবন থেকে রেহাই দিতে স্বাস্থ‍্য বিধি মেনে নিয়ম শিথিলের পথে রাজ‍্য সরকার । প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে রাজ‍্যের বিভিন্ন জায়গায় খুলেছে মন্দির , মসজিদ , গুরুদ্বার । মুখ‍্যমন্ত্রী ঘোষনা করলেও এতদিন অবধি ভক্তদের জন‍্য বন্ধ ই ছিল বর্ধমান শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মন্দিরের দরজা । অবশেষে স্বস্তির খবর দিল ট্রাস্ট বোর্ড । স্বাস্থ‍্য বিধি মেনে আগামী ১৫ ই জুন '২০ ( সোমবার ) থেকে খুলে যাচ্ছে দেবী সর্বমঙ্গলার মন্দির । ভক্তদের জন‍্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দ্বার । সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১১ টা এবং বিকেল ৪ টে থেকে সন্ধ‍্যা ৭:৩০ মিঃ পর্যন্ত খোলা থাকছে মন্দির এমনটাই জানিয়েছেন মন্দির ট্রাস্ট বোর্ডের সদস‍্য আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষ । জানা গেছে , স্বাস্থ‍্য বিধির দিকে নজর রেখে সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে তাই নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে ভক্তদের দাঁড়াবার জন‍্য দাগ কেটে জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়া হবে । দেবীর স্মানজল আলাদা করে পাত্রে রাখা থাকবে । সেখান থেকে ভক্তরা নিতে পারবেন । দেবীর কাছে ১০ জনের বেশী একসাথে ভক্তদের দাঁড় করানো হবে না । মন্দিরের নির্দিষ্ট গেটে সিভিক ভলেন্টিয়ার থাকবে । এছাড়া এই মুহুর্তে ভক্তদের জন‍্য কোনো ভোগ বিতরণের ব‍্যবস্থা থাকছে না বলে জানা গেছে । টোকেন সংগ্ৰহ করে ভক্তরা যে ভোগ নিতেন তা পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে । শুধুমাত্র দেবীর পুজোর জন‍্য যে ভোগের দরকার সেটুকুই তৈরী হবে । মন্দিরে প্রবেশের আগে প্রতিটা ভক্তকেই হ‍্যান্ড স‍্যানিটাইজার ব‍্যবহার করানো হবে । মাস্ক ব‍্যবহার জরুরী । দেবীর পুজো আলাদা ফুল দিয়ে হবে । বাইরে থেকে কোনো ভক্ত ফুল নিয়ে গেলে বাইরের রাখা ডালায় তা রেখে দিতে হবে ।  আরো জানা গেছে , ১৫ ই জুন মন্দির খুললেও আগামী যে বিপত্তারিণীর পুজো আছে সেই দিন মন্দির সম্পূর্ন বন্ধ থাকবে ভক্তদের জন‍্য । প্রবেশপথ খুলবে না । এই পরিস্থিতিতে ভীড় এড়ানোর জন‍্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে মন্দির ট্রাস্ট বোর্ড । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।